জায়গা-জমি ও রাজনৈতিক বিরোধের জেরে গুলিবিদ্ধ সাবেক যুবদল নেতা আব্দুল মজিদ (৫০) চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২১ দিন পর মৃত্যুবরণ করেছেন। গতকাল সোমবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে নিজ বাড়ি নওগাঁ সদরের সাহাপুর গ্রামে তিনি মারা যান। আজ মঙ্গলবার সকালে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নওগাঁ সদর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
গত ২ নভেম্বর রাত ১০টার দিকে শহরের ইয়াদ আলীর মোড় এলাকায় এই হামলার ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীদের তথ্য অনুযায়ী, জেলা যুবদলের সাবেক সদস্য আব্দুল মজিদের ওপর হামলা চালায় বোয়ালিয়া ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের ক্যাডার মোহাম্মদ আলী। জমি দখল নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে এই সংঘর্ষ হয়। জেলা বিএনপির সদস্যসচিব বায়েজিদ হোসেন পলাশ জানান, বোয়ালিয়া ইউনিয়নের সাহাপুর এলাকার এক জমি অবৈধ দখল থেকে মুক্ত করতে গিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হয়। ঘটনার রাতে মোটরসাইকেলে এসে আব্দুল মজিদের বাম কাঁধে গুলি করেন মোহাম্মদ আলী। এরপর তাঁর দুই ভাই কাবিল হোসেন (৩০) ও শফিকুল ইসলামকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। বিএনপির আরেক নেতা সুবিদ আলী হামলায় আহত হন।
হামলার পর স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে নওগাঁ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। গুরুতর আহত অবস্থায় আব্দুল মজিদসহ তাঁর দুই ভাইকে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। বাড়িতে থেকে চিকিৎসা নেওয়ার সময় সোমবার রাতে মৃত্যুবরণ করেন আব্দুল মজিদ। নওগাঁ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনায়েতুর রহমান জানান, ঘটনার পর পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি দেশীয় শাটারগান ও মোটরসাইকেল উদ্ধার করে। এজাহারভুক্ত চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্টের ভিত্তিতে গুলিবিদ্ধ অথবা হামলার কারণে মৃত্যু নিশ্চিত হলে এটি হত্যা মামলা হিসেবে রূপান্তরিত হবে। ইতোমধ্যে থানায় পৃথক মামলাও দায়ের করা হয়েছে। এই ঘটনার পর নওগাঁতে রাজনৈতিক উত্তেজনা আরও তীব্র হয়েছে। এলাকাবাসী নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। পুলিশ এ ঘটনায় কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে।