• 23 Jan, 2025

খালেদা জিয়ার ১০ বছরের সাজা স্থগিত, আপিল বিভাগের সিদ্ধান্তে বিএনপিতে স্বস্তি

খালেদা জিয়ার ১০ বছরের সাজা স্থগিত, আপিল বিভাগের সিদ্ধান্তে বিএনপিতে স্বস্তি

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ১০ বছরের কারাদণ্ডাদেশ আপিল বিভাগ স্থগিত করেছে। আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত এ স্থগিতাদেশ কার্যকর থাকবে। সোমবার আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ১০ বছরের কারাদণ্ডাদেশ স্থগিত করেছেন বাংলাদেশের আপিল বিভাগ। এ স্থগিতাদেশ কার্যকর থাকবে আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত। খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে আপিল শুনানির জন্য লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি) চেয়ে আবেদন করা হয়, যা সোমবার আদালত অনুমতি প্রদান করেছেন।

আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বেঞ্চ এ আদেশ দেন। বিচারপতি দলটি খালেদা জিয়াকে দুই সপ্তাহের মধ্যে আপিলের সার সংক্ষেপ দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে। খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন এবং ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকনসহ অন্যান্য আইনজীবীরা।

রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে অ্যাডভোকেট আসিফ হোসাইন উপস্থিত ছিলেন।

২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক আখতারুজ্জামান জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের নামে সরকারি অর্থ আত্মসাতের দায়ে খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন। একই মামলায় বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ আরও পাঁচজন আসামিকে ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড এবং প্রত্যেককে ২ কোটি ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

মামলার অপর তিন আসামি হলেন সাবেক মুখ্যসচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, সাবেক এমপি ও ব্যবসায়ী কাজী সালিমুল হক কামাল এবং ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ। মামলার বিচারে তারেক রহমান, কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমান পলাতক রয়েছেন।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত হওয়ায় দেশে রাজনৈতিক অঙ্গনে তাৎপর্যপূর্ণ প্রভাব পড়তে পারে। বিএনপি এবং এর মিত্ররা এ রায়কে স্বাগত জানালেও সরকার ও বিরোধী মহলে বিষয়টি নিয়ে নতুন আলোচনার সূত্রপাত হয়েছে।

নিউজ ডেস্ক

প্রভাত সময় ২৪