ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ও সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ চলাকালে উত্তেজনা প্রশমনে মাঠে নামেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। তার সাহসী ভূমিকা নিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলম একটি দীর্ঘ ও আবেগঘন স্ট্যাটাস দিয়েছেন।
সোমবার (২৭ জানুয়ারি) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া স্ট্যাটাসে সারজিস লেখেন, “হাসনাত আব্দুল্লাহ সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন। সংঘর্ষ থামানোর জন্য মবের মধ্যে ঢুকে অবস্থান নেওয়ার হেডম ছিল তার। তার সৎ উদ্দেশ্য ও সাহসিকতা প্রশংসনীয়।”
সারজিস আরও উল্লেখ করেন, “হাসনাত সবসময় অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সামাল দিতে সাহসিকতার পরিচয় দেন। তার মাথা গরম ও সৎ উদ্দেশ্যই তাকে ভিড়ের বাইরে আলাদা করে।” রবিবার (২৬ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে নীলক্ষেত এলাকায় সংঘর্ষ চলাকালে হাসনাত উপস্থিত হয়ে উত্তেজিত সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের শান্ত করার চেষ্টা করেন। তবে, কিছু ঢাবি শিক্ষার্থী তাকে ‘ফুটেজখোর’ আখ্যা দিয়ে স্লোগান দেয়। পরবর্তীতে তিনি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে স্থান ত্যাগ করেন।
এদিকে, সংঘর্ষ থামাতে চার প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়। সংঘর্ষে আহত তিনজনকে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। পুলিশের টিয়ার শেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-অ্যাকটিভ শিক্ষার্থীদের একজন হিসেবে হাসনাতের ভূমিকা প্রশংসা করার পাশাপাশি সারজিস তার সাহসিকতার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।