বিএনপি নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে সিঙ্গাপুরের হাইকমিশনার ডেরেক লো বাংলাদেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার ওপর জোর দেন। বৈঠকে অর্থনৈতিক সহযোগিতা, বন্দর উন্নয়ন, এবং দক্ষ শ্রমশক্তি বিনিময়ের বিষয়ে আলোচনা হয়।
আজ রোববার রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সিঙ্গাপুরের হাইকমিশনার ডেরেক লো এবং বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মধ্যে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে সিঙ্গাপুর এবং বাংলাদেশের মধ্যকার অর্থনৈতিক সহযোগিতা, বন্দর উন্নয়ন ও শ্রমশক্তি উন্নয়নসহ নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
সিঙ্গাপুরের হাইকমিশনের চ্যার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স মিচেল লো এবং সিঙ্গাপুর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ডেস্ক অফিসার রাহুল আব্রাহাম বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। বিএনপির পক্ষে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এনামুল হক চৌধুরী এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্কবিষয়ক কমিটির সদস্য শামা ওবায়েদ অংশগ্রহণ করেন।
বৈঠক শেষে বিএনপি নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, "বাংলাদেশে একটি নির্বাচিত সরকার থাকলে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে সুবিধা হয়। সিঙ্গাপুর মনে করে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।"
বৈঠকে সিঙ্গাপুর বাংলাদেশের বন্দর ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে কারিগরি সহায়তা প্রদান এবং অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদার করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এছাড়া, দক্ষ শ্রমশক্তি প্রেরণের বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে আলোচনা হয়।
তিনি আরও বলেন, "সিঙ্গাপুরে দক্ষ নার্স ও অন্যান্য পেশাজীবীর চাহিদা আছে। আমাদের দেশ থেকে দক্ষ শ্রমশক্তি পাঠাতে তারা আগ্রহী এবং এর জন্য বাংলাদেশকে প্রয়োজনীয় কারিগরি সহায়তা প্রদান এবং বিনিয়োগ করতে চায়।"
উল্লেখ্য, সিঙ্গাপুর ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নের লক্ষ্যে এই ধরনের বৈঠক উভয় দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনকে অভ্যুত্থানে আহত ব্যক্তি ও শহীদ পরিবারের সহায়তা প্রক্রিয়ায় বিলম্ব, আচরণগত অসন্তুষ্টি এবং চিকিৎসা সংক্রান্ত সমস্যার দ্রুত সমাধানের আহ্বান জানিয়ে চিঠি দিয়েছে জাতীয় নাগরিক কমিটি।
মিরপুর থানার পৃথক দুই হত্যা মামলায় আদালতে হাজির হওয়া সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার শুনানির ফাঁকে চকলেট খেতে চান। আইনজীবীর মাধ্যমে তাকে চকলেট সরবরাহ করা হয়।
মোহাম্মদপুর থানার হত্যা প্রচেষ্টা মামলায় সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলককে ফের দুই দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। এর আগে তিনি বিভিন্ন মামলায় ৩৪ দিন রিমান্ডে ছিলেন। আইনজীবী প্রশ্ন তুলেছেন, "একজন মানুষকে কতবার রিমান্ডে নেওয়া যায়?"