রাজধানীর ধানমন্ডি থানার শামীম হত্যা মামলায় সাবেক বিমানমন্ত্রী ফারুক খানসহ চারজনকে তিন দিনের রিমান্ডে নিয়েছে আদালত। পুলিশ জানায়, হত্যাকাণ্ডের মূল রহস্য উদঘাটন ও অন্যান্য জড়িতদের শনাক্তের জন্য এ রিমান্ড প্রয়োজন। আসামিপক্ষ অভিযোগ অস্বীকার করলেও রাষ্ট্রপক্ষ তাদের বিরুদ্ধে অপরাধে জড়িত থাকার যুক্তি তুলে ধরে।
রাজধানীর ধানমন্ডি থানার শিক্ষার্থী শামীম হত্যা মামলায় সাবেক বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) ফারুক খান, সাবেক সংসদ সদস্য সাদেক খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত এবং সাবেক কাউন্সিলর হাসিবুর রহমান মানিককে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
রোববার (৮ ডিসেম্বর) সকালে আসামিদের ঢাকার চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে হাজির করে তাদের প্রত্যেকের পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। শুনানি শেষে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহীন রেজার আদালত তাদের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তার পক্ষ থেকে জানানো হয়, আসামিদের প্রত্যক্ষ ইন্ধনে এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে এবং হত্যাকাণ্ডের নেপথ্য কারণ ও অন্যান্য জড়িতদের শনাক্ত করতে তাদের রিমান্ড প্রয়োজন। আসামিপক্ষের আইনজীবীরা আদালতে বলেন, আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কোনো সুনির্দিষ্ট প্রমাণ নেই। তাদের দাবি, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে আসামিদের হয়রানি করা হচ্ছে। তবে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ওমর ফারুক ফারুকী বলেন, আসামিরা স্বৈরাচারের দোসর হিসেবে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত এবং হত্যাকাণ্ডের সঠিক তদন্তের জন্য রিমান্ড অপরিহার্য।
উল্লেখ্য, এর আগেও বিভিন্ন মামলায় এই চার আসামি রিমান্ডে ছিলেন। তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা বিচারাধীন রয়েছে, যা তাদের অপরাধমূলক কার্যক্রমের ধারাবাহিকতা নির্দেশ করে। ধারণা করা হচ্ছে, এই রিমান্ডের মাধ্যমে পুলিশ মামলার মূল রহস্য উদঘাটন এবং হত্যাকাণ্ডে জড়িত অন্যান্য ব্যক্তিদের শনাক্ত করতে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি অর্জন করবে।
