• 23 Jan, 2025

গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর কীভাবে পালালেন ওবায়দুল কাদের, ব্যাখ্যা চাইলেন আদালত

গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর কীভাবে পালালেন ওবায়দুল কাদের, ব্যাখ্যা চাইলেন আদালত

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার শুনানিতে আদালত জানতে চেয়েছে, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হওয়ার পরও কীভাবে ওবায়দুল কাদের পালিয়ে গেলেন। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে ১৫ দিনের মধ্যে ব্যাখ্যা দিতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম জানান, কেউ পালাতে সাহায্য করলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ‘গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধ’-সংক্রান্ত মামলার শুনানি শেষে ওবায়দুল কাদেরের পালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে আদালত। মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম এ তথ্য জানান।

চিফ প্রসিকিউটর বলেন, “আমরা আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি যে ওবায়দুল কাদের গত তিন মাস ধরে বাংলাদেশে অবস্থান করছিলেন। তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হওয়ার পরও কীভাবে তিনি দেশের ভেতরে অবস্থান করলেন এবং পরবর্তী সময়ে সীমান্ত অতিক্রম করে পালালেন, সেই বিষয়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যাখ্যা প্রয়োজন।” তিনি আরও বলেন, “আদালত নির্দেশ দিয়েছে যে ১৫ দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট বাহিনীকে এই বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে হবে। যদি কারও সহায়তায় তিনি পালিয়ে থাকেন, তাহলে আইন অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” এর আগে মঙ্গলবার সকাল ১০টার পর আমির হোসেন আমু, রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু, আব্দুর রাজ্জাকসহ ১৬ আসামিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।

অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম আরও জানান, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর দায়িত্ব হচ্ছে আদালতের নির্দেশ কার্যকর করা। যদি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকা সত্ত্বেও কোনও ব্যক্তি পালাতে সক্ষম হন, তবে এর পেছনে অবহেলা কিংবা গাফিলতি থাকলে সংশ্লিষ্টদেরও জবাবদিহির আওতায় আনা হবে। প্রসঙ্গত, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দায়ের করা মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের সময় গণহত্যা, লুটপাট ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে।

নিউজ ডেস্ক

প্রভাত সময় ২৪